কাজিপুরে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর মৃত্যু। ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা
আগস্ট ৩০, ২০২৩
0
লিমন খান : কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় ব্যাপক হারে গবাদি পশু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই রোগ বিস্তার লাভ করার প্রায় অর্ধশত গরুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের গাছাবাড়ি গ্রামের মৃত শাজাহান স্বর্ণকারের ছেলে ইউসুফ উদ্দিন, ক্ষুদ্র খামারীর
৫০'হাজার টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।
প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের অভাবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দিন দিন আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ও সুপরামর্শ অভাবে গরুর মৃত্যু হওয়ায় ক্ষুদ্র খামারি ও প্রান্তিক কৃষক আতঙ্কে রয়েছেন। তবে বেশি বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা। লাম্পি স্কিন ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কাজিপুর উপজেলার এমন কোন গ্রাম নেই যে ওই গ্রামে লাম্পি স্কীন রোগে গরু আক্রান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে ক্ষুদ্র খামারি ইউসুফ জানান, গত একমাস আগে সোনামুখী হাট থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি ক্রয় করি। এর ১৫ দিন পর গরুর শরীরে লাম্পি স্কিনের প্রাদুর ভাব দেখা যায়। স্থানীয় পশু চিকিৎসক তোতা মিয়ার কাছ থেকে গরুটির চিকিৎসা নিতে থাকি। এরপরেও অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাত দিনের মাথায় আজ গরুটি মারা গেল। টেইলারিং ব্যবসার পাশাপাশি ক্ষুদ্র পরিসরে গরু পালন করে থাকি। জমানো টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছিলাম। গরুটি মারা যাওয়ায় আমি এখন নিঃস্ব হলাম।
চালিতাডাঙ্গা গ্রামের খামারী হায়দার আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমার গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন রোগে আক্রান্ত হাওয়ায় কিভাবে চিকিৎসা করব সেটা ভেবে পাচ্ছিনা। পল্লী চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা করেও কোন সুফল পাচ্ছিনা। গরুর সারা শরীর ক্ষত তৈরি হয়ে গেছে খায় না শুধু ঝিমায়। গরুটি বাঁচা মারা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গরু খামারি ও প্রান্তিক কৃষক জানান, বিশেষ করে সুচিকিৎসার অভাবে গরুগুলো ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদের ভেটেনারি সার্জন মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। মশা, মাছি থেকে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সরকারিভাবে ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকায় আমরা সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না। তবে অনেক খামারি ভ্যাকসিন কিনে ব্যবহার করেছেন । ক্ষতস্থানে পটাশ যুক্ত পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে। সঠিক ব্যবস্থা নিলে সাত থেকে ৮-১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্ত গরু ভালো হয়। অনেক সময় আক্রান্ত বেশি হলে গরু মারাও যেতে পারে।
ছবি আছে
মোঃ লিমন খান, কাজিপুর প্রতিনিধি
২৯.০৮.২৩. ০১৭১১১৬১৩৫২