জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাগমারায় বিশাল শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আগস্ট ২২, ২০২৩
0
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস এবং শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সাফল্য নিয়ে বিশাল শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২২ আগস্ট (মঙ্গলবার) বেলা ২ টায় হাটগাঙোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উক্ত শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাগমারার ইতিহাসে এই প্রথম প্রায় ২০ হাজার লোকসমাগমের মধ্যে দিয়ে বিশাল শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও এডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী আয়োজিত শোক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও উপদেষ্টা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ প্রফেসর ড. পি এম সফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এছাড়াও শোক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন,
উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বর্তমান সরকারের সময় দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে পুনরায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে আবারো সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস, বোমাহামলা আর জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে এবং যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছিল, যাদের সময় বিদ্যুৎ আর সারের জন্য মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, যারা দুনীতিতে পর পর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না'। আওয়ামী লীগ বিরোধী চক্র এখনো মাঠে সক্রিয় ভুমিকায় আছেন। বিএনপিকে খুন, গুম, আগুন সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এদেশে খুনীদের রাজত্ব আর চলবে না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যায় জড়িত থাকায় জিয়া পরিবারকে ‘খুনী পরিবার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরেরও দাবি জানান তিনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়।
সে দিনের হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর শ্রবনেন্দ্রিয় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নেতা-কর্মীদের মানব ঢাল প্রাণে বাঁচায় তাঁকে। কিন্তু নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মী নিহত এবং প্রায় এক হাজার জন আহত হন। যার মধ্যে ৫ শতাধিক গুরুতর আহত হন।
শোক সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানেই উন্নয়নের সরকার। দেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে৷ দেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করছে, তখন একটি মহল কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বিশ্ব দরবারের খারাপ বানানোর পায়তারা চালাচ্ছে। তাঁরা সব সময় এদেশের মানুষের ক্ষতি চেয়েছেন। দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছেন। সেই উন্নয়ন বিরোধী চক্র জামায়াত-বিএনপি এখন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তাদের এই অপপ্রচার রুখে দিতে আমরাও প্রস্তুত।