সাবমেরিন ক্যবলের বিদ্যুৎ বদলে দিয়েছে রাঙ্গাবালীর মৎস্য খাত
সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
0
/
মো:আল আমিন খান স্টাফ রিপোর্টার
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে সাবমেরিন ক্যাবলের বিদ্যুতে বদলে গেছে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালীর মৎস্য ও কৃষি খাত। নির্মাণ হয়েছে অনেক গুলো বরফ কল। ফলে মৎস্য নির্ভর এ জনপদের মাছ সংরক্ষণ করে পাঠানো যাচ্ছে দেশ-বিদেশে।
তিনদিকে নদী আর একদিকে বঙ্গোপসাগর। এরই মাঝখানে প্রায় পাঁচশ’ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপ নাম রাঙ্গাবালী।
সাগর ও নদী বেষ্টিত হওয়ায় বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপটিতে ছিলোনা কোন বিদ্যুত সংযোগ। প্রায় দুশো বছরের পুরোনো এই জনপদ যুগ যুগ ধরে ছিলো অন্ধকার আচ্ছন্ন।
২০২১ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাব মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এখানে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। এরপরই বদলে যায় মৎস্য ও কৃষি নির্ভর এ জনপদের মানুষের ভাগ্য। একের পর এক গড়ে ওঠে বরফ কল। এক সময় বরফ সংকটে মাছ পচার ভয়ে কম দামে বিক্রি করলেও, এখন বরফে সংরক্ষিত মাছ যাচ্ছে দেশ-বিদেশে।
রাঙ্গাবালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন জানান, বিদ্যুৎ ছিলো এ এলাকার মানুষের জন্য স্বপ্ন। এখানকার মানুষ কখনো চিন্তাও করেনি বিদ্যুৎ পাবে। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছায় আধুনিক জীবন যাপনের সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে এখানকার বাসিন্দারা।
পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব জানান, আমি এমপি হওয়ার পর প্রথম সংসদ অধিবেশনে অবহেলিত রাঙ্গাবালীকে বিদুৎতের আলোয়ে আলোকিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানিয়েছিলাম। তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করে এখানে তিন নদী বেরিয়ে সাবমেরিন ক্যবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। এ উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে চার ইউনিয়নই উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন। সড়ক পথে এক ইউনিয়নের সাথে অন্য ইউনিয়নের কোন যোগাযোগ নেই। এত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েও সবকটা ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ আসার পরই বদলে যায় মানুষের ভাগ্য। তৈরী হতে শুরু করছে শিল্প কারখানা।
ভোলা থেকে তেতুলিয়া নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এখানে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়। এখন শতভাগ বিদ্যুতায়নের উপজেলা রাঙ্গাবালী ।
সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী থানাকে ২০১২ সালের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী উপজেলা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানকার ছয় ইউনিয়নে বসবাস করেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এর অবস্থান অতি নিকটে হওয়ায় রয়েছে অর্থ নৈতিক উন্নয়নের নানান সম্ভাবনা।