।
হানিফ খান ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ধ্বংসের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেবাশীষ রাজবংশী।
বদলীর আদেশে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত হবে এই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষদের । সে এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লিমন এই দুইজন প্রকৃত আওয়ামী দোসর। এদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতির কারণে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক কঠিন দুঃসহ পরিস্থিতি পার করছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লিমন এবং ইন্ডোর মেডিকেল অফিসার ডা: মৌ দুইজনে ধারাবাহিক ভাবে ইমার্জেন্সি ডিউটিতে ব্যস্ত থাকছে যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রোগীদেরকে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঔষধ প্রেসক্রিপশন করা। অন্যদিকে ইন্ডোরে ভর্তিকৃত রোগীদের দেখার কেউ নেই।
দালাল এবং ঔষধ কোম্পানীর লোকজনের মাধ্যমে বিশাল এক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় তৎকালীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলের এই ছাত্রলীগ নেতার দাপটে হাসপাতালে আগত সাধারণরোগীগণকে ভয়ে তটস্থ রাখতেন এবং অজানা কারণে এখনো তার আধিপত্য ধরে রেখেছেন। আমরা গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ মোট ২৫ জন ডাক্তার এখানে পদায়িত আছেন। এতো বিশাল সংখ্যক ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও আউটডোরে গিয়ে দেখা যায় দুই থেকে তিন জন ডাক্তার এবং দুই জন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট বসে আছেন। বেশীরভাগ রুমের সামনেই দীর্ঘ লাইন অথচ ডাক্তার ব্যস্ত বাহিরে আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ।
